Smart preparation for competitive exam | প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির স্মার্ট প্রস্তুতি :
প্রতিযোগিতামূলক চাকরির জন্য নিজে থেকে বাড়িতে প্রস্তুতি নিতে চাইলে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলি যদি আপনি একের পর এক ঠিকঠাক অনুসরণ করেন, তাহলে আপনি অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অন্যদের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকবেন।
প্রথম ধাপ- আপনার লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন :-
এইধরণের চাকরির প্রস্তুতি নিতে চাইলে আপনার লক্ষ্যকে স্থীর করা অত্যন্ত আবশ্যক। আপনাকে নির্দিষ্ট করতে হবে আপনি কোন কাজ করতে চান ? কোন কাজ আপনার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। কাজের প্রতি নিজের মনকে বিশ্লেষণ করুন। যদি আপনার সমাজ সেবা করতে ভালো লাগে , যদি আপনি দেশের হয়ে, জনগণের জন্য কাজ করতে চান তাহলে আপনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাগুলির দিকে আপনার লক্ষ্য স্থির করতে পারেন। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার আয়োজন আছে। প্রত্যেকটি রাজ্যের নিজস্ব পাবলিক সার্ভিস কমিশন বোর্ড (PSC) এই পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এছাড়াও কেন্দ্র সরকার কেন্দ্রীয় ভাবে UPSC -এর দ্বারা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে। যদি আপনার ব্যাঙ্ক-এর কাজ করতে ভালো লাগে , তাহলে আপনি ব্যাঙ্কের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন। এর জন্য আপনাকে IBPS দ্বারা আয়োজিত পরীক্ষাগুলিতে বসতে হবে। তবে মনে রাখবেন , IBPS ব্যাঙ্কের নিয়োগকর্তা নন। IBPS ব্যাঙ্কের অফিসারদের যোগ্যতা নির্ণায়ক সংস্থা। IBPS দ্বারা আয়োজিত পরীক্ষায় পাস করলে তবেই আপনি কোনো ব্যাঙ্কের অফিসার পদের ইন্টারভিউ দিতে পারবেন। তবে SBI ব্যাঙ্ক তাদের নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের অফিসার নিয়োগ করে থাকে। সেক্ষেত্রে IBPS পরীক্ষায় না বসেও SBI অফিসার পদের পরীক্ষায় বসতে পারেন।
সবার প্রথম এরকমই বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পর্কিত নানান তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে এবং নিজের মনকে বিশ্লেষণ করতে হবে যে আপনি কোন পরীক্ষার জন্য নিজেকে বেশি উপযোগী বলে মনে করছেন। আপনাকে বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষায় বসে অভিজ্ঞতা নিতে হবে এবং একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে হবে। লক্ষ্য নির্দিষ্ট হলে তবেই আপনি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে পারবেন।
দ্বিতীয় ধাপ - সিলেবাস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানুন :-
আপনি কোন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চান তা নির্দিষ্ট হলে , আপনাকে দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসাবে যেটা করতে হবে তা হলো সেই পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা। আজকাল ইন্টারনেট-এ প্রায় সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সিলেবাস পাওয়া যায়। তবে যে সংস্থার পরীক্ষা আপনি দিতে চাইছেন , তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সিলেবাস ডাউনলোড করাই ভালো। এমন হতে পারে আপনি যেখান থেকে ডাউনলোড করছেন সেটি হয়তো পুরানো সিলেবাস , সংস্থা হয়তো তাদের সিলেবাস পরিবর্তন করে নতুন সিলেবাস প্রকাশ করেছে। তাই এটাই ভালো হবে সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সিলেবাস ডাউনলোড করে নেওয়া। সিলেবাস ডাউনলোড করার পর সেই সিলেবাস ভালো করে খুঁটিয়ে পড়তে হবে।
তৃতীয় ধাপ-পরীক্ষার কিছু নমুনা প্রশ্নপত্র সঞ্চয় করুন : -
আপনাকে এরপর ওই পরীক্ষার আগের বছরের যত প্রশ্ন পত্র , নমুনা প্রশ্নপত্র আছে সব সঞ্চয় করতে হবে। এর জন্য ইন্টারনেট-এ সার্চ করলে বা ওই সংস্থার ওয়েবসাইট-এ পেয়ে যাবেন। যদি ইন্টারনেট-এ না পাওয়া যায় তাহলে আপনার এলাকায় বা সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন কারা ওই ধরণের পরীক্ষা দিয়েছে। এই প্রশ্নপত্র গুলি থেকে প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে আপনার একটি আইডিয়া তৈরী হবে।
চতুর্থ ধাপ -পড়ার বিষয়গুলি পুঙ্খানু পুঙ্খ ভাবে বিশ্লেষণ করুন :-
পরীক্ষার সিলেবাস জেনে পড়া শুরু করে দেওয়াটাকেই প্রস্তুতি নেওয়া বলে না। আজকের এই ভীষণ প্রতিযোগিতার বাজারে দরকার স্মার্ট প্রস্তুতির। তবেই আপনি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন।

আপনাকে পড়ার সিলেবাস টিকে খুব ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। দেখতে হবে যে সিলেবাস-এর কোন বিষয় গুলিতে আপনার ভালো নলেজ আছে আর কোন কোন বিষয়গুলিতে আপনি দুর্বল। এমনকি প্রশ্নপত্র গুলিকেও বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে কোন বিষয় গুলির উপর বেশি নম্বরের প্রশ্ন আসছে। আপনাকে সেই বিষয় গুলির উপর বেশি জোর দিতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে টাইম ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। তাই যে বিষয় গুলিতে আপনি দুর্বল , যদি দেখেন একদমই পারবেন না সেই বিষয় গুলিতে মাথা ঘামিয়ে সময় নষ্ট না করে অন্য বিষয়গুলির উপর জোর দিন।
পঞ্চম ধাপ - সাপ্তাহিক রুটিন বানান:-
একটি সাপ্তাহিক রুটিন বানান। সেই রুটিনে অবশ্যই সমস্ত বিষয়গুলিকে কভার করুন আর এক ঘন্টার মতো কিছু সময় হাতে রাখুন , ওই সময়ে অন্য কোনো কাজ নয়। ওই সময়ে আপনাকে প্রশ্নপত্রগুলিকে প্র্যাকটিস করতে হবে।
0 Comments